ছৈয়দ আলম, কক্সবাজার
প্রকাশিত: ২৯/০৭/২০২৩ ১০:৪১ এএম

কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নং (৫) এ গত এক বছর ছয় মাসে ১ হাজার ২৯১টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে বন ও সিআর মামলা। এটি কক্সবাজারের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেকর্ড। কক্সবাজারের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ শফি এ তথ্য জানান।
তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ১ বছর ৬ মাসে অর্থাৎ ২০২২ ও ২৩ সালের জুন পর্যন্ত কক্সবাজার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্্েরট ৫ নং আদালতে ৪ হাজার ৬৮৭টি মামলা নতুন যুক্ত হয়। এর মধ্যে ১৩৯১ টি মামলা নিষ্পত্তি হয়। এছাড়া ২০২২ সালে ৬৩৬ ও ২০২৩ সালের ৬ মাসে ৩৪৪ জনের সাক্ষী গ্রহণ করা হয়।
তিনি আরো জানান, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসাদ উদ্দিন মো: আসিফ ২০২২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারী কক্সবাজারে যোগ দেওয়ার পর অনেক মামলার জট কমেছে। যা অতীতের সব রেকর্ড রচনা হয়েছে।
নিষ্পত্তি মামলাগুলোর মধ্যে আদালতে সাক্ষী উপস্থাপন, প্রবেশন মামলা নিষ্পত্তি, প্রসেস নিষ্পত্তি, ওয়ারেন্ট তামিল, প্রতিবেদন দাখিল, চাঞ্চল্যকর হত্যা, ধর্ষণ, ছিনতাই ও অপহরণের মতো গুরুত্বপূর্ণ মামলা ছিল। যা জেলায় বিগত দিনে রেকর্ড হিসাবে ধরা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন।
কক্সবাজারে কর্মরত আইনজীবি দিদারুল মোস্তফা জানান, কক্সবাজারে দীর্ঘদিন মামলাজটের পর এবার মামলা নিষ্পত্তিতে রেকর্ড করেছেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৫। গেল দেড় বছরে কর্মদিবসে নিষ্পত্তি হয়েছে বিভিন্ন ধরনের মামলা। দ্রুততম সময়ের মধ্যে অধিক সংখ্যক মামলা নিষ্পত্তি হওয়ায় বিচার বিভাগের প্রতি আস্থা বাড়ছে মানুষের। পাশাপাশি কমছে মামলার ব্যয় ও ভোগান্তি।
কক্সবাজারের সিনিয়র আইনজীবি রমিজ আহমদ বলেন, ‘মানুষ যত তাড়াতাড়ি বিচার পাবে, ততই বেশি বিচার বিভাগের আস্থা বাড়বে। আশা করি দ্রুত বিচার নিষ্পত্তি সংস্কৃতি অব্যাহত থাকবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘বিচারের জন্য কক্সবাজার আদালত প্রাঙ্গণে বছরের পর বছর ঘোরাঘুরির দিন শেষ হয়ে আসছে। বিচারালয়ে অনেক বেশি গতিশীলতা এসেছে। ফলে বিচার বিভাগের প্রতি বাড়ছে মানুষের আস্থা ও শ্রদ্ধা।’
কক্সবাজার জেলা কারাগারের জেল সুপার মো: শাহ আলম বলেন, কক্সবাজারে তিনি যোগদানের আগে কারাগারের ধারন ক্ষমতার চেয়ে ৪/৫ গুন বেশীবন্দি ছিল। এখন ২৫০০ হাজারের মতো বন্দি রয়েছে। প্রতিদিন জামিনে মুক্ত হচ্ছে আসামী। এটা আসলে ভালো হচ্ছে আদালতের বিচার কার্যক্রম দ্রুত ও মামলা নিষ্পত্তি হচ্ছে বলে নিয়মিত বন্দি কমছে।
তিনি আরো বলেন, ‘কক্সবাজারে গত কয়েক বছরে অধিক সংখ্যক মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। ফলে বিচার প্রাপ্তিতে দীর্ঘসূত্রিতা অবসান হচ্ছে। এই সংস্কৃতি চালু থাকলে বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের আস্থা আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে।’ কারা কর্তৃপক্ষের কষ্টও কমে যাবে।
মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল বিচার বিভাগের প্রতি জনগণের আস্থা বৃদ্ধি ও ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার জন্য আন্তরিকতা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে কাজ করার লক্ষ্য প্রতিনিয়ত মানুষের কল্যাণে নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে বিচারক ও সহায়ক কর্মচারীদের প্রতিনিয়ত দিক নির্দেশনা প্রদান করছেন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসাদ উদ্দিন মো: আসিফ।
জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসাদ উদ্দিন মো: আসিফ এই কার্যপদ্ধতির মাধ্যমে আগামী দিনগুলোতে সংশ্লিষ্ট মামলাগুলোর পারষ্পরিক সমন্বয়ের মাধ্যমে বিচার ব্যবস্থায় আরো গতিশীলতা আসবে বলে বিচারপ্রার্থীরা আশা প্রকাশ করেছেন।
বন আদালত গঠন ও দ্রুত নিষ্পত্তিতে রেকর্ড :
কক্সবাজারে বন আদালত গঠন ও দ্রুত মামলা নিষ্পত্তিতে রেকর্ড হয়েছে। ২০২২ ও ২০২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত ৯৩৫টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। এছাড়া বয়স্ক আসামী (প্রবেশন) এর ৬টি মামলা নিষ্পত্তি করা হয়েছে। বন আদালতে এখন পুরাতন মামলা খুঁজে খুঁেজ দ্রুত সময়ে নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। এ কারনে মামলার জট অনেকাংশে কমে এসেছে। আদালতের রায়ে সন্তুষ্ট বাদী-বিবাদীপক্ষ।
কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ২০ মার্চ আলাদা বন আদালত গঠন করা হয়। প্রথম মাসেই ৩৬টি মামলা নিষ্পত্তি করেন বন আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসাদ উদ্দিন মো: আসিফ। মামলার রায়ে আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা প্রদান করেন। চকরিয়া, কুতুবদিয়া এবং মহেশখালী ব্যতীত সব বন মামলা বন আদালতে প্রেরণ করে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসাদ উদ্দিন মো: আসিফকে দায়িত্ব প্রদান করেন তৎকালিন চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর মুহাম্মদ ফারুকী।
বর্তমান চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন যোগদানের পর বন আদালতের পর মামলা আন্তরিকভাবে দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন। ইতিমধ্যে তিনি কক্সবাজার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (উত্তর ও দক্ষিণ)কে দ্রুত স্বাক্ষ্য উপস্থাপনের নির্দেশ প্রদান করেছেন। যেন দ্রুত সময়ে বিচার নিষ্পত্তি হয়।
বন আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ শফি বলেন, আসাদ উদ্দিন মো. আসিফ বন আদালতের দায়িত্ব প্রহণের পর থেকে বনের অপরাধ কমে গেছে। বিচারকের দৃঢ়তায় আসামীরা সহজে জামিন লাভ করতে পারছে না। আসামীদের মধ্যে ভীতির সৃষ্টি হয়েছে। বনের অপরাধ বহুলাংশে কমে গেছে মনে করা হচ্ছে।
বন বিভাগ (দক্ষিণ) এর প্রসিকিউটর এফসিসিও আলী নেওয়াজ বলেন, বন আদালতের বন ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হচ্ছে। অনেক দিনের মামলা জট কমে যাচ্ছে। কক্সবাজারে বন আদালত গঠন করার পর অনেক অবৈধ ডাম্পার আটক হওয়ার পর কিছুইতে জামিনে নিতে পারছেন না সেক্ষেত্রে উচ্চ আদালতে গিয়ে নিয়ে আসছে।
কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো: সারওয়ার আলম বলেন, বন আদালত পৃথক হওয়ার পর বনের প্রচুর উপকার হচ্ছে। গ্রহণযোগ্য ও সুন্দর রায় দিচ্ছেন বিচারক। আদালতের নির্দেশনা ও আদেশের আলোকে প্রতিবেদন দাখিল করা হচ্ছে।
রামু জোয়ারিয়ানালার মোহাম্মদ ইসমাঈল ভেটকু নামে এক আসামী জামিনের আবেদন করেন। তার নথি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, মামলার আসামী মোঃ ইসমাইল (ভেটকু)কে বয়স বিবেচনা করে মামলার প্রকৃতি এবং তাদের পূর্বাপর অপরাধ সংঘটন ও বয়স বিবেচনায় কারাদণ্ডের পরিবর্তে প্রবেশনে প্রেরণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। প্রবেশনকালীন সময় দোষী সাব্যস্ত আসামী প্রবেশনার মো: ইসমাইল (ভেটকু)কে এক বছর প্রবেশন প্রদান করা হয়। তার প্রবেশনকালীন সময়ে রায় প্রদানের তারিখ হতে আগামী এক বছর প্রতি মাসের (মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতিবার) জোয়ারিয়ানালা রেঞ্জ বিটের আওতাধীন এলাকার সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা কর্তৃক নির্ধারিত “প্রাত্যহিক সেবামূলক কর্ম” অনুযায়ী সেবা প্রদান করবেন। আসামী মো: ইসমাইল প্রবেশনকালীন সময়ে রেঞ্জ কর্মকর্তার নির্দেশনা অনুসারে “প্রাত্যহিক সেবামূলক কর্ম” সম্পাদন করবেন। শর্তে যা কিছু কিছুই থাকুক না কেন প্রবেশন শুরুর প্রথম তারিখে কিংবা পূর্বে ক্ষতিপূরণ প্রদান করে আদালতে চালান কপি দাখিল করতে হবে। কোন ধরনের অপরাধের সহিত জড়িত হবেন না এবং একই ধরনের অপরাধ আর করবেন না মর্মে তিন কপি বণ্ড দাখিল করবেন। বর্ণিত শর্ত মতে নিয়মিত বা প্রয়োজন অনুসারে “প্রাত্যহিক সেবামূলক কর্ম” তৈরী করে আসামী মোঃ ইসমাইল (ভেটকু)কে সরবরাহ করবেন এবং নিজ তত্ত্বাবধানে ও দায়িত্বে আসামীকে দিয়ে “প্রাত্যহিক সেবামূলক কর্ম” সম্পাদন করিয়ে নিবেন। সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা তার আওতাধীন এলাকায় নিয়মিতভাবে একজন শ্রমিক/ভিলেজার যে ধরনের কাজ করেন সে সকল কাজের উপর ভিত্তি করে “প্রাত্যহিক সেবামূলক কর্ম” নির্ধারণ করবেন এবং রেঞ্জ কর্মকর্তা “প্রাত্যহিক সেবামূলক কর্ম” নির্ধারণে আসামী মোঃ ইসমাইল (ভেটকু) এর বয়স ও কর্মক্ষমতা এবং প্রচলিত আইন বিবেচনায় নিবেন।
আসামী মো: ইসমাইল (ভেটকু) ২০০ জন এতিমকে প্রবেশন কর্মকর্তা কর্তৃক নির্ধারিত এতিম খানা অথবা যেখানে ২০০ জনের নিম্নে এতিম রয়েছে সেরুপ স্থানে মোট ২০০ জন এতিমের সমান সংখ্যক ১ বেলা খাওয়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে এবং তা সেই মাসেই সম্পাদন করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়। তৎ মর্মে আগামী ২৫ জুলাই তারিখের পূর্বে প্রবেশন কর্মকর্তা রিপোর্ট প্রদান করার নির্দেশনা দেয়া হয়। আসামী রেঞ্জ কর্মকর্তা/বন কর্মকর্তা কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে প্রত্যেকে ১০০টি নির্ধারিত (ফলজ/ঔষধী/বনজ) বৃক্ষ রোপন করে সমাজে শান্তি বজায় রাখা ও ভালো ব্যবহার করে আদালত ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যে কোন সময় তলব করলে উপস্থিত হওয়ার শর্ত আরোপ করা হয়।
বন আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ শফি বলেন, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসাদ উদ্দিন মো: আসিফ বন আদালতের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই আসামিরা সহজে জামিন পাচ্ছেনা। জামিনের পরিবর্তে আসামীদের বৃক্ষ-রোপনের শর্ত দেওয়া হয়।
এ পর্যন্ত আসামীদের দিয়ে ১৫ হাজার ৬৯০ টি গাছের চারা রোপন করা হয়েছে। বিচারকের নির্দেশে নির্ধারিত এলাকায় বৃক্ষরোপণ করছে বন বিভাগ। গাছের মধ্যে, সেগুন, আকাশমণি, মেহগনি, জাম, গর্জন, চম্পা, গামারি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, পূর্বে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিভিন্ন এখতিয়ারসম্পন্ন ম্যাজিস্ট্রেটগণ তাদের নিজ নিজ অধিভুক্ত এলাকায় মামলা আমলে গ্রহণ এবং বিচার সম্পন্ন করতেন। এতে করে ভিন্ন ভিন্ন আদালতের ভিন্ন ভিন্ন সিদ্ধান্ত এবং দ্রুত বিচার নিষ্পত্তিতে সমস্যা হত। জট লেগে যেত মামলার। বর্তমানে পৃথক বন আদালতের সুবাদে আগের জটিলতা নেই। নিজস্ব গতিতে চলছে বিচারের কাজ।
জানা গেছে, অনেক আসামীদের বয়স ষাটোর্ধ। তাদের কিভাবে কারাগারে পাঠিয়ে কি সংশোধন করা হবে। তাদের জেলে না পাঠিয়ে প্রবেশন দিয়ে দিচ্ছে। সমাজসেবা অধিদপ্তরের আওতায় তারা থাকবে। এক বছর তারা অবজারভেশনে থাকবে। শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে তাদের কাজ দেওয়া হয়। বৃক্ষ রোপন করা, এতিমদের খাওয়ানো, মাদকবিরোধী কাজ করা, সামাজিক কর্মকান্ডে নিজেকে নিয়োজিত রাখা হচ্ছে।
বন বিভাগের প্রসিকিউটর এফসিসিও (উত্তর) আবদুল জব্বার বলেন, একসময়ে বিভিন্ন কোর্টে শুনানি হত। এখন একই সময়ে একই জায়গায় হওয়াতে মামলা শুনানিতে কোন বেগ পেতে হচ্ছেনা। বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট তাঁর কর্ম দক্ষতার কারণে অনেক জটিল মামলাও দ্রুত নিষ্পত্তি হচ্ছে। তিনি আসামী এবং সরকার পক্ষ দুজনকেই সমান দৃষ্টিতে দেখছেন। কোনো পক্ষপাতিত্ব করছেন না। এছাড়া বয়স্ক আসামিদের শর্ত মোতাবেক প্রবেশন দিয়ে সুনাম কুড়িয়েছেন। এ ব্যাপারে আমরা আদালতকে সবসময় সহযোগিতা করে আসছি।
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন সরকার বলেন, বন আদালত এক জায়গাতে হওয়ায় সবার জন্য ভালো হয়েছে। এছাড়া বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট আন্তরিকতায় দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি করছেন। ইতিমধ্যে অনেক পুরনো মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে।
কক্সবাজারে কর্মরত অনেক আইনজীবিরা জানান, বর্তমানে কক্সবাজারে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি হওয়া মাইলফলক। মানুষ ন্যায় বিচার পাচ্ছে এটাই আসল বিষয়। বয়স্কদের শর্ত মোতাবেক প্রবেশনে দিয়ে তাদের হাতে বৃক্ষ রোপন করা হচ্ছে। নতুন কোন অপরাধের সাথে জড়িত হতে পারছেনা। শাস্তি হিসেবে তাকে দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে এটাও ইতিবাচক দিক।
আইনজীবিরা বলেন, আসাদ উদ্দিন মো. আসিফ বন আদালতের দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকে কক্সবাজার জেলায় বনের অপরাধ বহুলাংশে কমেছে। জীববৈচিত্র এবং জলবায়ু রক্ষায় এক অনবদ্য ভূমিকা পালন করছেন আদালত।
উল্লিখিত মামলাসমূহের মধ্যে প্রায় মামলা ৫/৭ বছরের অধিক পুরাতন মামলা। অধিক মামলা নিষ্পত্তিতে মনোযোগী হওয়ার কারণে আইনজীবী এবং বিচারপ্রার্থী জনগণ উভয়ের কাছেই প্রশংসার

পাঠকের মতামত